Popunder

ads top

ইতিহাসের নির্মম সাক্ষী খালিশপুরের নীলকুঠি।

 


ব্রি"টিশ রাজত্বকালে ইং"রে'জরা এদেশে নীল চাষ করার জন্য যেসব কুঠি গড়ে তুলেছিলেন সেসব কুঠিবাড়িই নীলকুঠি নামে পরিচিত। নীলকুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। এ নদ দিয়েই নৌকায় করে আসতো ইংরেজরা। তারা ওই কুঠিতে থাকতো আর কৃষকদের ওপর অত্যাচার করতো। আঠারো শতকের শুরুর দিকে কোটচাঁদপুর দুতিয়ারকুঠি কুঠির মালিক ব্রিজবেন মহেশপুরের খালিশপুরে কপোতাক্ষ নদের তীরে এ কুঠিটি স্থাপন করেন।
১২ কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন এটি। নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো আয়তনে বড়।চুন, সুরকি ও পাকা ইট দিয়ে তৈরি এ ভবনটি।কুঠির নিচ তলায় ছিল নীল চাষের খাজনা আদায় ও নির্যাতন কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় আদায়কারীরা রাতযাপন করতেন।বিশ্রাম ও গোসল করার জন্য নির্মিত পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষের তীর পর্যন্ত নামানো। এখানে ১৮১০- ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকররা নীল চাষ পরিচালনা করত।এলাকার কৃষকের মাধ্যমে নীল চাষ করে পাঠানো হতো ।


ইং'ল্যা"ন্ড'সহ পৃথিবীরবিভিন্ন দেশে। দিনের পর দিন অত্যাচারে মাত্রা বাড়াতে থাকে ইং'রে'জ নীলকরদের।যারা নীলচাষ করতেন না তাদের এ কুঠিতে এনে করা হতো নির্যাতন।কুঠির সামনে থাকা গাছে বেঁধে চলত অমানুষিক নির্যাতন।গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে রাখা হতো কুঠির কক্ষগুলোয়।উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মতো এ নীলকুঠিটিও রেখে চলে যান নীলকররা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ১৪ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এটি একটি দ্বিতল ভবন। ১৮১০-১৮৫৮ সাল পযর্ন্ত এটি ছিল কৃষক নির্যাতন কেন্দ্র। ১৮৬৫ সালে নীল বিদ্রোহ সংগঠিত হলে অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যা
পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদার জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত।

খালিশপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
Share on Google Plus

About somrat

Ut wisi enim ad minim veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis autem vel eum iriure dolor in hendrerit in vulputate velit esse molestie consequat, vel illum dolore eu feugiat nulla facilisis at vero eros et accumsan et iusto odio dignissim qui blandit praesent luptatum zzril delenit augue duis.

0 Comments:

Post a Comment