যারা এ দেশে ইসলাম এনেছেন, ইসলাম শিখিয়েছেন, তাঁদের রেখে তথাকথিত কোনো শায়েখের কথা শোনার, মানার প্রয়োজন বোধ যেন আপনাকে তাড়িত না করে। মানতে হয় তো অলি-আল্লাদের মানুন। যেতে হয় তো তাঁদের কাছে যান। বসতে হয় তো তাঁদের মাজারে/মজলিশে বসুন। সাথে তাঁদের কথা, তাঁদের জীবন, তাঁদের অনুসরণ করতে যাঁরা বলে, তাদের শুনুন।
মাজার-কেন্দ্রিক ভণ্ডামি? আছে। কিন্তু এসব অন্তত শায়েখ-কেন্দ্রিক ভণ্ডামির চেয়ে ভালো। মাজার-কেন্দ্রিক ভণ্ডামি চোখে পড়ে; কিন্তু শায়েক-কেন্দ্রিক ভণ্ডামি চোখে পড়ে না। কারণ, তারা কুরআনের কথা বলে বলে ভণ্ডামি করে। বুখারি, মুসলিমের নাম জপে ভণ্ডামি করে। আপনার চোখে ধুলো দিয়ে কুরআনের হুকুম উল্টে দেয়। সুবিধা মতো হাদিস আওড়ায়।
মাজারে শিরক হয় বলে লম্বা লেকচার তো হরহামেশাই শোনা যায়; কিন্তু শায়েখরা যে জনতুষ্টির জন্য, জনপ্রিয়তার জন্য সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে প্রচার করেন, তাতে যে মারাত্মক রকমের শিরক হয়, সে কথার প্রচার কে করবে? ফা-ওয়াইলুল-লিল-মুসল্লিন। মানে দ্বীনের নাম দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির বদলে পকেটপুজি আর জনপ্রিয়তা পুজির জন্য মানুষের সন্তুষ্টির তালাশ শিরক। কিন্তু সে কথা ধরিয়ে দেবার মতো লোক আপনি পাবেন না।
একুশ শতাব্দীর সবচাইতে বড়ো হেয়ালি হচ্ছে— শায়েখদের থেকে নতুন করে ইসলাম শিখতে হবে! হাজার বছর ধরে ইসলামের যে চর্চা আমরা করেছি, যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি, সবটা মিছা কথা। এসব মিছা কথা নিয়া আমাদের পূর্বপুরুষরা সবাই দোজখে জ্বলতাছে। অর্থাৎ, বেহেশতের সিরিয়াল শুরু হইতেছে গিয়া এই শতক থেইকা। তাই আমাদের নতুন করে সোয়াহিহ মুসলিম হইতে হবে, নতুনভাবে ইসলাম শিখতে হবে! হোয়াট দ্য ফাঁকিবাজি***
সিরা-তাল্লাজি-না আনআমতা আলাইহিম
“চালাও সে পথে, যে পথে তোমার প্রিয়জন গেছে চলি
0 Comments:
Post a Comment